এখানে গতি ও বল অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর সাজানো হয়েছে। প্রশ্নে ক্লিক করে উত্তর দেখুন।
উত্তর: কোনো বস্তুর অবস্থান যদি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় তবে তাকে গতি বলে।
উত্তর: যে প্রভাবে কোনো বস্তুর গতি পরিবর্তিত হয় অথবা আকার পরিবর্তিত হয়, তাকে বল বলে।
উত্তর: একটি বস্তুর স্থান পরিবর্তনের হারকে বেগ বলে। সূত্র: $v = \frac{d}{t}$
উত্তর: বেগ পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে। সূত্র: $a = \frac{\Delta v}{t}$
উত্তর: কোনো বস্তু বাহ্যিক বল প্রয়োগ না হলে স্থির বস্তু স্থির থাকবে এবং গতি সম্পন্ন বস্তু সমবেগে সরলরেখায় চলতে থাকবে।
উত্তর: কোনো বস্তুর ভরবেগ পরিবর্তনের হার বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল বলের সমান এবং বলের দিকেই ঘটে।
উত্তর: প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া থাকে।
উত্তর: ভর ও বেগের গুণফলকে ভরবেগ বলে। সূত্র: $p = mv$
উত্তর: ভরবেগের একক = কেজি·মিটার/সেকেন্ড (kg·m/s)।
উত্তর: কোনো বস্তুর গতি বা গতি-চেষ্টা রোধকারী বলকে ঘর্ষণ বল বলে।
উত্তর: জড়তা হলো বস্তুর স্থির বা গতি অবস্থা বজায় রাখার প্রবণতা। যেমন—হঠাৎ ব্রেক করলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে যায়।
উত্তর: নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী, $F=ma$। বল প্রয়োগ করলে ভর স্থির থাকলে ত্বরণ তৈরি হয়।
উত্তর: বইয়ের উপর মহাকর্ষজ বল ও টেবিলের অভিকর্ষ প্রতিক্রিয়া বল সমান ও বিপরীতমুখী কাজ করে বলে বই স্থির থাকে।
উত্তর: প্যারাশুট বাতাসের প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে, ফলে ভারসাম্য বজায় রেখে ধীরে নামে।
উত্তর: যাত্রীদের দেহ জড়তার কারণে আগের দিকে গতি বজায় রাখে, ফলে কাত হয়।
উত্তর: $p = mv = 10 \times 2 = 20 \, kg \cdot m/s$।
উত্তর: $F = ma = 5 \times 4 = 20 \, N$।
উত্তর: $a = \frac{30-20}{5} = 2 \, m/s^2$।
উত্তর: $p = 1000 \times 10 = 10000 \, kg \cdot m/s$।
উত্তর: $a = \frac{F}{m} = \frac{50}{10} = 5 \, m/s^2$।
উত্তর: স্থির ঘর্ষণ চলা শুরু হওয়ার আগে কাজ করে, গতিশীল ঘর্ষণ চলমান অবস্থায় কাজ করে।
উত্তর: মহাকর্ষ বল বস্তুগুলোকে পৃথিবীর দিকে আকর্ষণ করে।
উত্তর: পুলি যান্ত্রিক সুবিধা দেয়, ফলে কম বল প্রয়োগে ভারী বস্তু তোলা যায়।
উত্তর: রকেট থেকে গ্যাস নিচে বের হলে তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী সমান প্রতিক্রিয়ায় রকেট ওপরে ওঠে।
উত্তর: ঘর্ষণ বাড়িয়ে সড়কে ভালো গ্রিপ পাওয়ার জন্য।
উত্তর: কারণ গাড়ির ভরবেগ বেশি থাকে, হঠাৎ থামানো যায় না।
উত্তর: বলের উপর বল প্রয়োগে ভরবেগ পরিবর্তিত হয়, ফলে দূরে যায়।
উত্তর: বেশি বেগ নিয়ে বেশি ভরবেগ সৃষ্টি হয়, ফলে দূরে লাফ দেওয়া যায়।
উত্তর: জড়তার কারণে।
উত্তর: সেখানে কার্যত কোনো মহাকর্ষ নেই।
উত্তর: নিউটন (N)।
উত্তর: 1 kg ভরকে 1 m/s² ত্বরণ দিতে যে বল প্রয়োজন।
উত্তর: ত্বরণ।
উত্তর: $KE=\frac{1}{2}mv^2$।
উত্তর: বলবিহীন ব্যবস্থায় মোট ভরবেগ অপরিবর্তিত থাকে।
উত্তর: প্রায় 9.8 m/s²।
উত্তর: $v=gt$।
উত্তর: $s=\frac{1}{2}gt^2$।
উত্তর: শূন্য।
উত্তর: জড়তার কারণে।
উত্তর: সিটবেল্ট হঠাৎ মন্দনের সময় যাত্রীর জড়তাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সিটের সাথে আটকে রাখে, ফলে মাথায় বা শরীরের অন্য অংশে আঘাত লাগে না।
উত্তর: অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে বস্তুর মধ্যে ত্বরণ সৃষ্টি হয়, যা তার গতি বাড়িয়ে তোলে।
উত্তর: উঁচু থেকে পড়ার সময় বস্তুর গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। মাটিতে আঘাত করার সময় এই গতিবেগ হঠাৎ শূন্য হয়ে যায়, ফলে ভরবেগ পরিবর্তনের হার অনেক বেশি হয় এবং নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী, বলের পরিমাণও অনেক বেশি হয়, যা আঘাতের কারণ হয়।
উত্তর: নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী ($F=ma$), একই ত্বরণ দিতে ভারী বস্তুর (বেশি ভর) জন্য বেশি বলের প্রয়োজন হয়।
উত্তর: ভরবেগের পরিবর্তনের সময়কাল বাড়ানোর জন্য। ভরবেগের পরিবর্তনের হার কমানো গেলে বলের পরিমাণও কমে যায়, ফলে আঘাত কম লাগে।
উত্তর: নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী, বেলুনের ভিতরের বাতাস পিছন দিকে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার সময় সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া বল বেলুনকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়।
উত্তর: কোদালের ধারালো ফলাটি খুব ছোট ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট। কোনো বস্তুর উপর চাপের মান নির্ভর করে সূত্র: চাপ = বল / ক্ষেত্রফল। ক্ষেত্রফল যত ছোট হয়, নির্দিষ্ট বল প্রয়োগে তত বেশি চাপ তৈরি হয়। ফলে কোদালের ধারালো ফলা দিয়ে মাটির উপর সামান্য বল প্রয়োগ করলেও অনেক বেশি চাপ উৎপন্ন হয়। এই উচ্চ চাপ মাটিকে সহজে ভেঙে দেয়, তাই কোদাল ব্যবহার করলে মাটি খুঁড়তে সুবিধা হয়।
উত্তর: হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করার সময় হাতুড়ির একটি নির্দিষ্ট ভর (mass) এবং বেগ (velocity) থাকার কারণে তার ভরবেগ (momentum) থাকে। যখন হাতুড়ি পেরেকের মাথায় আঘাত করে, তখন হাতুড়ির ভরবেগ পেরেকে স্থানান্তরিত হয়। নিউটনের দ্বিতীয় গতি সূত্র অনুযায়ী, ভরবেগের পরিবর্তনের হারই বলের সৃষ্টি করে। পেরেকের মাথার ক্ষেত্রফল খুব ছোট হওয়ায় অল্প জায়গায় এই ভরবেগ কেন্দ্রীভূত হয়। ফলে পেরেকের উপর অনেক বড় বল কার্যকর হয় এবং পেরেক কাঠ বা দেওয়ালের ভেতরে ঢুকে যায়। এইভাবে ভরবেগের স্থানান্তর ও ক্ষুদ্র ক্ষেত্রফলের কারণে বল বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: রেলগাড়ির যাত্রীর দেহ ট্রেন চলমান অবস্থায় তার গতির কারণে একটি ভরবেগ অর্জন করে। নিউটনের প্রথম গতি সূত্র অনুযায়ী (জড়তার সূত্র), কোনো বাহ্যিক বল প্রয়োগ না হলে বস্তু তার আগের গতি বজায় রাখতে চায়। ফলে, ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার পরও যাত্রীর দেহ সামনের দিকে একই বেগে চলতে থাকে। কিন্তু মাটি যাত্রীর পায়ের তলা সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দেয়, এতে দেহ ও পায়ের মধ্যে ভারসাম্য হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এই ভারসাম্য রক্ষার জন্য এবং পতন এড়ানোর জন্য যাত্রীকে ট্রেনের গতির দিকেই কিছুটা দৌড়াতে হয়। এভাবেই দেহের ভরবেগ ধীরে ধীরে কমে গিয়ে যাত্রী নিরাপদে থামতে পারে।
উত্তর: হেলিকপ্টারের ব্লেডগুলি বাতাসকে
উত্তর: হেলিকপ্টারের ব্লেডগুলি দ্রুত ঘুরে বাতাসকে নিচের দিকে ঠেলে দেয়। এর ফলে বাতাসের অণুগুলির উপর একটি বল ক্রিয়া করে এবং বাতাস নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। নিউটনের তৃতীয় গতি সূত্র অনুযায়ী, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া থাকে। অতএব, বাতাসকে নিচের দিকে ঠেলে দেওয়ার ফলে বাতাসও হেলিকপ্টারের উপর সমান মানের একটি উর্ধ্বমুখী প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। এই উর্ধ্বমুখী প্রতিক্রিয়া বল হেলিকপ্টারের ওজন (মহাকর্ষজ বল) অতিক্রম করতে সক্ষম হলে হেলিকপ্টার আকাশে উঠে যায়। এভাবেই প্রতিক্রিয়া বলের কারণে হেলিকপ্টার উপরে ওঠে এবং আকাশে ভেসে থাকতে পারে।